শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২ অপরাহ্ন

নোটিশঃ
দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিক  নিয়োগসহ পরিচয় পত্র নবায়ণ চলছে।

ইরানে হাজারো জনতার বিক্ষোভ

জিটিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর : গত বুধবার ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান তেহরানের ইমাম খোমেনী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানটির ১৭৬ আরোহী প্রাণ হারান। ওই দুর্ঘটনার তিনদিন পর এই ঘটনার দোষ স্বীকার করেছে ইরান। এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজধানী তেহরানে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

ওই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রথমদিকে নিজেদের দোষ স্বীকার করেনি ইরান। তবে গতবার শনিবার ইউক্রেনের বিমান দুর্ঘটনায় নিজেদের ভুলের কথা স্বীকার করে নেয় ইরানি কর্তৃপক্ষ। তারা স্বীকার নেন যে, ভুলবশত ইউক্রেনের ওই বিমানটি গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।

ইরানি কর্তৃপক্ষ কেন দীর্ঘ সময় ধরে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান দুর্ঘটনা ঘটনা নিয়ে মিথ্যা বলেছেন সেই ক্ষোভ থেকেই বিক্ষোভ করছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।

জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এ সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ে। বিক্ষোভকারীরা শরীফ বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমির কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। প্রথমদিকে তারা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাবেশ করেন। কিন্তু সন্ধ্যার দিকে বিক্ষোভে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা দাবি জানিয়েছেন, যারা বিমান বিধ্বস্তের পেছনে দায়ী এবং যারা এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। কমান্ডার ইন চীফ এবং সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির পদত্যাগ এবং মিথ্যাবাদীদের মৃত্যুর দাবি জানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানে এই বিক্ষোভকে অনুপ্রেরণামূলক বলে উল্লেখ করে টুইট করেছেন।

গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধানের লে. জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। এরপর গত ৮ জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ওই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের তিন মিনিটের মাথায় বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানটি কিভাবে বিধ্বস্ত হলো প্রথমদিকে সে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। পরে ইরান জানিয়েছে, তারা ভুলবশত বিমানটি ভূপাতিত করেছে।

বিধ্বস্ত বিমানটির অধিকাংশ আরোহীই ছিলেন ইরানি এবং ইরানি বংশোদ্ভূত কানাডীয় নাগরিক। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অন্যদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সূত্র : বিবিসি

নিউজটি শেয়ার করুন

All rights reserved © meghnapost.com